Fiverr online market place, ফাইবারে কাজ শুরুর প্ল্যান করছেন?

কিভাবে Fiverr account Create করবেন?

ফাইবারে কাজ শুরুর প্ল্যান করছেন?
fiverr account Create করার জন‍্য প্রথমে একটি Gmail Account Create করবেন। তারপর fiverr.com market place যাবেন। যাওয়ার পরে first name,Last name, User name and Gmail account New Account Create click করবেন।
তারপর Email verified sms আসার পর email verified করে নিবেন।
তারপর সুন্দর করে profile সাজাবেন। profile সাজানোর পরে সুন্দর ভাবে Uniquk Gig Create করবেন ।
তার পর প্রতিদিন ২৪ ঘন্টা Active থাকার চেষ্টা করেন এবং নিয়মিত কাজ নেওয়ার জন‍্য,প্রতিদিন ১০ করে বিট করবেন। কাজ না পাওয়া পর্যন্ত লেগে থাকতে হবে, লেগে থাকলে সফলতা আসবেই।
ফাইবারে নতুনরা কাজ করতে নেমে অনেকেই অনেক সমস্যা ফেস করেন আবার অনেকেই ফাইবারে হিডেন রুলসগুলো জানেন না। এক্ষেত্রে অনেকেই শুরুতেই ধাক্কা খেয়ে যান। আজকে সেইসব পয়েন্টগুলো তুলে ধরব যেগুলো মেনে চললে ফাইবারে লং টাইম কাজ করতে পারবেন।


Fiverr Profile কেমন হওয়া উচিত?
১. প্রথমেই আসি ফাইবার প্রোফাইল নিয়ে। ফাইবার প্রোফাইল তার নামেই খুলবেন যার ভোটার আইডি বা পাসপোর্ট আছে। কারন যেকোন সময় ভ্যারিফিকেশনে পড়তে পারেন।

Fiverr Gig কেমন হওয়া উচিত?
২. ফাইবারে যদি আপনি লং টাইম কাজ করার জন্য আসেন তাহলে ফাইবারে কোন দুই নাম্বারি করা যাবে না। ফাইবারে গিগ যেহেতু একটা প্রোডাক্টের মত। প্রোডাক্ট যত আকর্ষনীয় করে তুলবেন তত সেল হবে। ফাইবারে গিগের ইমেজ বা ড্রেসক্রিপশন কখনই কারও কপি করা যাবে না। হ্যা আপনি অন্যদের দেখে আইডিয়া নিতে পারেন তাই বলে কপি করতে পারবেন না। তা ছাড়া অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার পর একদিন দেখবেন আপনার গিগ রিমুভ।
৩. ফাইবারে অনেক ক্যাটাগরির গিগ রিমুভ করে দিয়েছে যেগুলা অবৈধ কাজের মধ্যে পড়ে যেমন ইউটিউব লাইক,সাবস্ক্রাইব, রিভিউ ইত্যাদি। তাই অবশ্যই ইউনিক বিষয়ে গিগ খুলবেন নাছাড়া অনেকদূর যাওয়ার পর দেখবেন একদিন গিগ রিমুভ।

ভাল ইংরেজী কিভাবে জানবো?
৪.আমি ইংরেজী ভালো পারি না কিন্তু কাজ পারি তাহলে কি আমি ফাইবারে কাজ করতে পারব? উত্তরটা আপনার কাছেই আছে। সাপোস আপনি কাজ পারেন আপনার কাছে একজন জার্মান ক্লায়েন্ট আসছে তার সাথে যদি জার্মান ভাষায় কথা বলতে না পারেন তাহলে আপনি তার থেকে কাজ বুঝে নেবেন কিভাবে আর করবেন কিভাবে। তেমনি ইংলিশ বিষয়টাও সেম। কাজ করার ক্ষেত্রে কমিনিকেশন রাখাটা খুব জরুরী আপনি কাজ না বুঝে নিতে না পারলে কাজ কখনই করতে পারবেন না। আর ইংলিশ বোঝার জন্য একবার একে একবার ওকে নক দিতে তো পারেন না। আর গুগল ট্রান্সলেট কখনই ১০০% রাইট আউটপুট দেয় না। সো আপনার যদি মনে হয় আপনি ইংলিশ পারেন না। তাহলে ২-৩ মাস ইংলিশ শিখুন অন্তত কমিনিকেশন এর মত ইংলিশ জানলেও চলবে। ব্যাপারটা এমন না যে ফাইবারে আপনি ২-৩ মাস পর আসলে কাজ ফুরাই যাবে বা কাজ পাবেন না।

অর্ডার কিভাবে পাবো?
৩. ফাইবারে গিগ খুলে ডাইরেক্ট খুব কম অর্ডার পাওয়া যায়। কারন বায়াররা নিউ সেলারদের উপর তেমন ভরসা করতে পারে না। বায়াররা সময় নষ্ট করতেও চায় না তাই তারা বেশি রিভিউ থাকা গিগগুলোতেই ডাইরেক্ট অর্ডার বেশি করে। সাপোস আপনি এমাজনে যখন একটা প্রোডাক্ট কিনতে যাবেন তখন আপনি নিজেও কিন্তু ভালো রিভিউ প্রোডাক্ট দেখেই কিনবেন। গ্রুপে রেগুলার পোস্ট দেখি গিগ খুলেছি অর্ডার পাই না। তাদের উত্তরটাই এতক্ষন দিলাম। তাহলে অর্ডার পাবেন কিভাবে? অর্ডার পেতে হলে ডেইলি ১০টা ইউনিউকভাবে বায়ার রিকুয়েস্ট করতে হবে। যদি কপি পেস্ট বায়ার রিকুয়েস্ট করেন অর্ডার পাবেন না। আমি বলব না কিভাবে করবেন। জাস্ট বায়ারের জায়গায় নিজেকে বসান আর ভাবুন আপনাকে কিভাবে বললে আপনি প্রোডাক্টটা কিনতেন উত্তর পেয়ে যাবেন। গিগে যখন অনেক রিভিউ আসবে আস্তে আস্তে তখন ডাইরেক্ট গিগ থেকে অর্ডার পাওয়া শুরু করবেন। অনেকে ২-৩ মাস পরও প্রথম অর্ডার পেয়েছিল। ধৈর্যশক্তি আপনার মধ্যে না থাকলে ফ্রিলান্সিং আপনার দ্বারা হবে না।
৪. নতুনদের জন্য বায়ার রিকুয়েস্ট করার জন্য ৮০% সাকসেস রেট থাকতে হবে। সো আপনি অর্ডার পেয়েছেন কিন্তু দেখছেন বায়ার হ্যাপি না তখন ক্যানসিল করে দিন।
৫. প্রথম দিকে আপনার টার্গেট থাকবে প্রতিটা অর্ডারে ফাইবস্টার আনা কারন উপরে আমি লিখে দিয়েছি ৮০% সাকসেস না থাকলে বায়ার রিকুয়েস্ট করতে পারবেন না। তাই ফোকাস কাজের দিকে দিবেন। আর যত কষ্ট হউক বায়ারকে ফুল স্ট্যাটিস্ফাইড করবেন। একটা প্রোফাইল দাড় করাতে হলে প্রথম দিকে অনেক কষ্ট করতেই হবে।

ফাইবার নিয়ম মেনে বায়ারের সাথে কাজ করাঃ
৬. বায়ারের সাথে ইমেইল, স্কাইপি কোনরকম যোগাযোগের মাধ্যম শেয়ার করার ইচ্ছাটাও মনে রাখা যাবে না। মনে রাখবেন ফাইবার আপনার থেকেও অনেক চালাক। বায়ার আপনার সাথে বাইরে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে স্পষ্টভাবে বলেদিন এইটা ফাইবার রুলস ব্রেক করবে তাই আমাদের এখানেই কথা বলতে হবে। কাজের প্রয়োজনে বায়ার আপনাকে ইমেইল দিতে পারে সেক্ষেত্রে সমস্যা নেই।
৭. কাজের প্রয়োজনে কিছু কিছু ওয়ার্ড ব্যবহার করার সময় মধ্যে গ্যাপ দিবেন। যেমন আপনি ওয়েব ডিজাইনে কাজ করেন এক্ষেত্রে পেপাল পেমেন্ট সেট করার জন্য বায়ারের পেপাল একাউন্ট দরকার বা ইমেইল দরকার সেক্ষেত্রে paypal, e mail লিখবেন। আর অনেকেই বায়ারকে বাইরে যোগাযোগ করা যাবে না জন্য outside of fiverr এইটা একসাথে লিখেন এইটা করবেন না। কথাটা এভাবে লিখতে পারেন। Sorry fiverr doesn't support to talk outside. So we have to talk here.

Fiverr Review:
৭. ফাইবারে এখন Reviews নিয়ে অনেক কড়াকড়ি। তাই Review চাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান হবে। যদি দেখেন বায়ার আপনার কাজে সন্তুষ্ট তাহলে ডেলিভারিতে লিখে দিবেন যে, আমার কাজ আপনার যদি ভালো লাগে 5* রিভিউ দিতে ভুলবেন না এইটা আমার অনলাইন ক্যারিয়ার গড়তে অনেক সহায়তা করবে।
৮. বায়ার মানে হল লক্ষী। বায়ারের সাথে ভালো বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক তৈরী করুন। বায়ারকে কিছু এক্সট্রা সুবিধা দিন এতে বায়ার আপনাকে ছাড়া অন্য কোন সেলারের কাছে যাবে না লিখে দিতে পারি। কাজ শেষে ম্যাসেজে তাকে ধন্যবাদ দিন। তার নেক্সটে কোন হেল্প লাগলে আপনাকে যেন নক দেয় বলে দিন। এছাড়া অর্ডার কমপ্লিট হওয়ার পর যদি বায়ার নক করে আপনাকে কিছু হেল্প করে দিতে যদি বলে করে দিন। এতে বায়ার খুশি হবে। আমি নিজেই অনেক করে দেই। ম্যাক্সিমাম বায়ারের কাছে একটা কথা শুনেছি যে তাদের অর্ডার কমপ্লিট হওয়ার পর কোন দরকার হলে সেলারকে নক দিলে ঠিক মত রিপ্লে দেয় না। এই কাজ করবেন না এতে বায়ার আপনার কাছে আর আসবে না। বায়াররা সব সময় হেল্পফুল আর ট্রাস্টেড মানুষ খুজে।
৯. কোন বায়ার যদি আপনাকে খারাপ রিভিউ দেয় এর জন্য তাকে ইনবক্সে বা ফাইবার সাপোর্টে ভুলেও নক দেবেন না। আপনি রিসলুশন থেকে ডাইরেক্ট রিভিউ মডিফাইড এর রিকুয়েস্ট করতে পারেন ডিটেইলস লিখে।
১০. ভেজাল টাইপের বায়ার এড়িয়ে চলুন। আপনাকে সব সময় মাথা কুল রাখতে হবে বায়ার যাই আচরন করুক না কেন। আগেই বলছি আপনার কাজ না পছন্দ হলে ক্যানসিল করে দিবেন নাছাড়া বায়ার সাপোর্টে রিপোর্ট করলে আপনি ওয়ার্নিং খাবেন।

কোন দেশের বায়ারের কাজ করা উচিত?
১১. ইন্ডিয়ান , পাকিস্তান, বাংলাদেশ ক্লায়েন্ট একদম ই না। বিশেষ করে পাকিস্তানিরা নিউ সেলারদের টার্গেট করে। তাই কাজের লোভে তাদের ফাদে পা বাড়াবেন না। এই গ্রুপে এই বিষয়টা হাজারবার মানা করা হইছে তারপরও ডেইলি এমন ব্যাড এক্সপেরিএন্স এর পোস্ট দেখতে হয়।

১২. সব সময় অন টাইমের মধ্যে ডেইলিভারি দিবেন। আর যারা গ্রাফিক্সে কাজ করেন ভুলেও ফাকা ডেলিভারি দিবেন না। কিছু না কিছু এটাচ করে দেবেন।

১৩. যদি কখনও দেখেন বায়ার অর্ডার করছে কিন্তু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দেয় নাই এইদিকে বায়ার অনলাইনেও আসে না সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে অর্ডার সময় শেষ হওয়ার ৩০ মিনিট আগে ডেলিভারি দিবেন। আর লিখে দিবেন যে, আমি আপনার রেস্পন্স এর জন্য অপেক্ষা করছিলাম কিন্তু আপনি মে বি ব্যস্ত আছেন। অর্ডার ডেলিভারি সময় শেষ হয়ে যাচ্ছিল তাই আমি ডেলিভারি দিয়েছি। আপনি যখন অনলাইনে আসবেন তখন রিভিশনে ক্লিকে করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দিবেন প্লিজ।
১৪. খুব প্রয়োজন না হলে ভুলেও কখনও সাপোর্টে নক দিবেন না।
১৫. যে গিগে অর্ডার পেয়েছেন সেই গিগ কখনও এডিট করবেন না।
সর্বোপরি ফাইবারে কাজ করতে হলে সততার সাথেই কাজ করতে হবে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url