সুনামগন্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার কথা।বাংলা কথা।

প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য এবং রাজা বিজয় সিংহের বাসস্থান (ষোড়শ শতক) এর ধ্বংসাবশেষ।

ইতিহাসিক ঘটনাবলি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়,
তাহিরপুরের নিকটবর্তী খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে
প্রচুর শরণার্থী শিবির স্থাপন করা হয়েছিল।

১৯৯৭-৯৮ সালে তাহিরপুরে ভাসান পানি আন্দোলন
অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে ১০ জন কৃষক মারা
গিয়েছিল এবং অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল
এবং তাদের বন্দী রাখা হয়েছিল।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ২৩৩, মন্দির ৪৫, গির্জা ১, সমাধি ৩, পবিত্র স্থান ১।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩১.২%; পুরুষ ৩২%, মহিলা ২৫.৯%।

খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান:
তাহিরপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫০),
তাহিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৮৮)
জয়নাল আবেদীন কলেজ (১৯৯৯),
বাদাঘাট সরকারী কলেজ (১৯৯৪),
বাদাঘাট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬২),
টেকেরঘাট চুনাপাথর খানি প্রকল্প উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৯৬) ,
জনতা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৮৯),
বালিজুরী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৫),
তাহিরপুর হিফজুল উলাম সিনিয়র মাদ্রাসা (১৯৩৩),
রহমানিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা (১৯৩৩)।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ১, ক্লাব ১০, মহিলা সংগঠন ১, খেলার মাঠ ৩।

টাঙ্গুয়ার হাওর,নিলাদ্রী লেক,বর্তমানে শিমূল বাগান, শ্রীশ্রী অদাইতা প্রভুর জন্মধাম (জন্মস্থান), পানা তীর্থ এবং বারেক টিলা পর্যটন স্পট।

আয়ের প্রধান উৎস কৃষি .০৮.০৫%,
অকৃষি শ্রমিক ৫.৫৩%, শিল্প ০.০৫%, বাণিজ্য
১১.৫৬%, পরিবহন ও যোগাযোগ ০.০৭%,
সেবা ২.৩০%, নির্মাণ ০.০৭%, ধর্মীয় সেবা ০.০২%,
ভাড়া ও রেমিটেন্স ০.২২% এবং অন্যান্য ৮.০৩ %। কৃষিজমির মালিকানা ভূমিমালিক ৫৯.৩৪%, ভূমিহীন ৪০.৬৬%; কৃষি জমির মালিক: নগর ৬০.৮৪% এবং গ্রামীণ ৫৯.২৭%।

প্রধান কৃষি ফসল ধান, বাদাম, গম, সরিষা।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি তামাক, কাউন।

প্রধান ফলমূল আম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, লেবু, তরমুজ।

মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ১০, দুগ্ধ ২০,
হাঁস-মুরগি ৭০ ।
যোগাযোগের সুযোগগুলি পাকা রাস্তা ১৫ কিমি, কাঁচা রাস্তাটি ২০১ কিমি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি,
ষাঁড়ের গাড়ি। কুটিরশিল্প তাঁত, বাঁশের কাজ, বেতের কাজ।

হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ২০, মেলা ২, এর মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য বাদাঘাট বাজার, তাহিরপুর বাজার, বালিজুরি বাজার, আনোয়ারপুর বাজার, রাজারগাঁওয়ের পানতির্থ বারুনি মেলা এবং লরারগড়ের শাহ আরেফিন মেলা।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য ধান, মাছ, চুনাপাথর।

বিদ্যুতের অ্যাক্সেস উপজেলার সকল ইউনিয়ন গ্রামীণ বিদ্যুতায়ন নেট-ওয়ার্কের আওতায় রয়েছে। তবে ৩.৯৩% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। প্রাকৃতিক সম্পদ চুনাপাথর, বালি এবং কয়লা।

পানীয় জলের উৎস টিউব-ওয়েল ৮১.৮৪%, ট্যাপ ১%, পুকুর ৪.৫৪% এবং অন্যান্য ১২.৭২%।

স্যানিটেশন ১১.২৩% (গ্রামীণ ৯.৯৯% এবং শহরে ৩৮.৯%) পরিবার স্বাস্থ্যকর ৭৭.০৮% এবং(গ্রামাঞ্চল ৭৭.৮৭% এবং শহরে .০.৮৪%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে।
১১.৬৯% পরিবারের কোনও ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৭, উপগ্রহ ক্লিনিক ১।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url